জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও আমাদের সম্পদ, তারা ফেলনা বা অযোগ্য নয়
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও আমাদের সম্পদ, তারা ফেলনা বা অযোগ্য নয়
আমার এই লেখাটি শুধুমাত্র জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে লেখা। আমি এখানে যা লিখছি, তার সবকিছুই আমাদের দেশের পাব্লিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জানা। কিন্তু, আমার মতে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আমাদের সমাজে সবচেয়ে বেশি অবহেলিত, তারা পায় না কোনো ক্যারিয়ার নিয়ে ভালো দিকনির্দেশনা, না পায় ভালো কোনো ফ্যাসিলিটি। যদিও তাদের প্রায় সবাই প্রথম বর্ষের শুরু থেকেই বিসিএস-এর প্রিপারেশন নেওয়া শুরু করে, তবে আমার এই লেখাটি তাদের বিসিএস প্রিপারেশন নিয়ে না। আমি লিখছি যাতে তাদের কারো মধ্যে কখনো যদি ভবিষ্যতে গবেষক হয়ে নিজেকে দেখার স্বপ্ন বা ইচ্ছা থেকে থাকে, কিন্তু শুধুমাত্র জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার কারণে সেই স্বপ্ন অধরাই থেকে যাচ্ছে, তাহলে সেক্ষেত্রে এই লেখাটি তাদের আন্ডারগ্রাজুয়েট প্রথম বর্ষ থেকে কিছুটা আইডিয়া পেতে সাহায্য করবে।
একজন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হয়তো দেশের কোনো পাব্লিক বা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পায়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাডমিশন টেস্টে কোনো কারণে ছিটকে গিয়ে আজ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে হচ্ছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পরক্ষণেই সমাজের বা নিজ এলাকার মানুষজন উপহাস করে বলে ওঠে, "জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি নিয়ে জীবনে কোনো কিছুই হবে না।" কিন্তু, এই উপহাসের কারণে আমরা অনেক প্রতিভা হারিয়ে ফেলছি অজান্তেই।
অথচ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত প্রতিটি শিক্ষার্থীই অসম্ভব সম্ভাবনার অধিকারী। তারাও চাইলে ভবিষ্যতে গবেষক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে। কারণ, তাদের রক্তে ঠিক সেই স্বপ্নই বয়ে চলছে, যেই স্বপ্ন বয়ে চলছে পাব্লিক বা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শরীরে। শুধু পার্থক্য একটাই - জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হাতে নেই সেই পরিমাণ রিসোর্স, নেই সঠিক গাইডেন্স, নেই সুযোগ। তবুও তারা চাইলে আজকের এই আর্টিফিশাল ইন্টেলিজেন্সের যুগে নিজেরাই তৈরি করে ফেলতে পারে নিজেদের সুযোগ। সত্যি বলতে, শুরুর দিকে গবেষণা মানে বড় বিশ্ববিদ্যালয় না, বড় কোনো ল্যাব না- গবেষণা হলো অনুসন্ধান আর জিজ্ঞাসা, আর সময় সুযোগ করে সকল ক্রিটিক্যাল চিন্তাভাবনা গুলোকে লিখে ফেলা।
একজন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হয়তো কোনো গ্রামের গরীব পরিবার থেকে উঠে এসেছে, অর্থকষ্টের কারণে টিউশনি করে নিজের দিনকাল পাড় করতে হয়। তাই, তাদের অধিকাংশই ধরে নেয় যে, এইসব বড় স্বপ্ন দেখা হয়তোবা তাদের জন্য এক রকম বিলাসিতা। কিন্তু, এতসব লিমিটেশনের পরেও তারা যদি চায় নিজেকে একদিন গবেষক হিসেবে দেখতে, তাহলে তাদের জন্য আমার কয়েকটি দিকনির্দেশনা যেগুলো তারা তাদের প্রথম বর্ষের শুরু থেকেই অনুসরণ করতে পারে:
১। প্রথমেই মানসিক ভাবে নিজেকে পজিটিভ রাখা, লক্ষ্য নির্ধারণ করা, এবং সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নেওয়া। নিজেকে বারবার প্রশ্ন করা- "আমি কি চার বছর পর শুধুই একটা সার্টিফিকেট নিবো, নাকি পাশাপাশি জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে নিজেকে স্কলার হিসেবে একদিন দেখবো?" যদি উত্তর "হ্যাঁ" হয়, অর্থাৎ স্কলার হওয়ার ইচ্ছা জাগে, তবে প্রথম দিন থেকেই যে সাবজেক্টে ভর্তি হয়েছেন, সেই সাবজেক্টের পুরো চার বছরের "ডিটেইলড সিলেবাস" জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করে "skim through" করা প্রয়োজন। কোন ইয়ারে কোন কোন কোর্স আছে, সেই সব কোর্সের জন্য কি কি বই পড়তে হবে, ল্যাব ওয়ার্ক বা প্রাক্টিকাল থাকলে কোন কোন সফটওয়্যার শিখতে হবে, সেগুলো সম্পর্কে আইডিয়া রাখতে হবে। পজিটিভ মাইন্ডসেট থাকলে অবশ্যই ভালো কিছু করা সম্ভব।
২। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সব কোর্সের জন্য কিছু দেশীয় বই পড়ে থাকেন, যেগুলোকে আসলে গাইড বই বলা ছাড়া আর অন্য ভালো কিছু বলা সম্ভব না। রেজাল্ট ভালো করার জন্য সাময়িক ভাবে ঠিক আছে যদিও, তবে জ্ঞান অর্জনের জন্য অবশ্যই অবশ্যই সেই সব কোর্সের বিদেশি অথরদের বই (ইংরেজি ভাষায় লেখা) পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। শুরুর দিকে এসব বই পড়তে কষ্ট হবে, তাই গাইড বই গুলো একেবারে পরিহার না করে, তার পাশাপাশি যে টপিকটি গাইড বই থেকে পড়া হচ্ছে, সেটি বিদেশি বই গুলোতে কীভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, শুধু সেটুকু দেখে নিলেই হবে। অনলাইনে আমরা একটু সার্চ করলেই সেই সব কোর্সের ভালো কিছু টেক্সট বই ইজিলি পেয়ে যাব। মনে রাখতে হবে যে, প্রতিটা কোর্সের জন্য ভালো বই অনুসরণ করাই হবে একাডেমিক লাইফের বড় মাইলস্টোন। কোর্স বেসড সেই সব বিদেশি বই গুলো পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে আরেকটা এক্সট্রা অ্যাডভান্টেজ পাওয়া যাবে, সেটা হলো: ইংরেজির চর্চাটা চলমান থাকবে।
৩। কোর্স ওয়ার্কের পাশাপাশি নিজের টুকটাক সফট স্কিল ডেভেলপ করার দিকে মনোযোগী হওয়া উচিত: যেমন, "একাডেমিক রাইটিং" নিয়ে ভাবনাচিন্তা করা, "ক্রিটিক্যাল থিংকিং এবিলিটি" নিজের মধ্যে নিয়ে আসা, "কমিউনিকেশন ও টিমওয়ার্ক"-এর প্রতি গুরুত্ব দেওয়া। কোভিড পরবর্তী সময়ে আমাদের একটা লাভ হয়েছে যে, আমরা চাইলেই এইসব বিষয় বিভিন্ন অনলাইন প্লাটফর্ম যেমন Coursera, edX ইত্যাদি থেকে শিখে নিতে পারছি। "একাডেমিক রাইটিং" খুবই ইম্পর্ট্যান্ট। এর জন্য প্রতিনিয়ত অল্প হলেও ইংরেজিতে লেখার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। পাশাপাশি, কিছু বেসিক সফটওয়্যার সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে। আর্থিক অভাব অনটনের কারণে যদি বাসায় কম্পিউটার/ল্যাপটপ না থাকে, তাহলে কলেজের কম্পিউটার ল্যাবগুলোতে বসে সেই সব সফটওয়্যার গুলো আস্তেধীরে অল্প অল্প করে শিখে নিতে হবে। যদি কলেজে কম্পিউটার এক্সেস না থাকে, বা ধরে নিলাম শহর বা গ্রামের কোনো কলেজে এই সব রিসোর্সই নাই, তাহলে কি আপনার শেখা থেমে থাকবে? উত্তর হলো- "না..."; শেখার আগ্রহ থাকলে আপনি চাইলে ইউটিউব থেকেও সেসব সফটওয়্যারের বেসিক বিষয় গুলো দেখে নিতে পারবেন আর নোট-ডাউন করে নিতে পারবেন। তবে হ্যাঁ, কম্পিউটার এক্সেস থাকলে এডিশনাল লাভ একটাই হতো, সেটা হলো- প্র্যাক্টিস করার অপশন থাকত। কিন্তু, এটা তেমন বড় কোনো প্রতিবন্ধকতা না।
৪। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অনার্স কারিকুলামে "প্রজেক্ট বা থিসিস"-এর কোনো অপশন থাকে না। কিন্তু তাই বলে যে, থিসিস রিলেটেড বেসিক আইডিয়া গুলো শেখা থেকে বিরত থাকতে হবে বিষয়টা তেমন না। একটি গবেষণা পেপারের কী কী অংশ বা কম্পোনেন্ট থাকে, সেগুলো জানলেই হবে। এর জন্য আপনি যে বিষয়ে ইন্টারেস্টেড, শুরুতে সেই বিষয়ের কয়েকটা রিসার্চ পেপার ডাউনলোড করে পড়লেই অনেকটা বুঝে যাবেন। পেপার ডাউনলোড করার জন্য আপনাদের সবচেয়ে ভালো অপশন হতে পারে Google Scholar, সেখানে আপনি আপনার ইচ্ছেমতো বিষয়/টপিক/পেপার সার্চ করতে পারবেন। আপনি চাইলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে গিয়ে The National University Journal থেকে কিছু পেপার শুরুতে পড়তে পারেন। তবে, Google Scholar আপনার সামনে পুরো বিশ্বকে হাজির করবে।
৫। গবেষণায় আগ্রহী শিক্ষার্থীরা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাদের অনার্স লাইফ ভালোভাবে কমপ্লিট করার পর বাংলাদেশের যেকোনো পাব্লিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারে। এটা হবে, তাদের একাডেমিক লাইফের জন্য এক "প্রথম স্বর্গের সিঁড়ি"। কারণ, বাংলাদেশের প্রতিটি পাব্লিক বিশ্ববিদ্যালয়েই মাস্টার্সে গবেষণা প্রজেক্ট / গ্রুপ প্রজেক্ট / থিসিস নেওয়ার অপশন থাকে। এবং, এই প্রজেক্ট কোনো একজন শিক্ষক (সুপারভাইজার) এর গাইডেন্সে করতে হয়। আপনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এসে যদি কোনো একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের আন্ডারে প্রজেক্ট বা থিসিস করেন, তাহলে অবশ্যই আপনি কিছু না কিছু শিখবেন। আর "গ্রুপ প্রজেক্ট" হলে আপনার গ্রুপমেটরাও আপনাকে কঠিন বিষয়গুলো বুঝতে সাহায্য করবে। এছাড়াও, সুপারভাইজারের আন্ডারে থাকা অন্য থিসিস স্টুডেন্টদের কাছ থেকেও আপনি প্রতিনিয়ত সাহায্য পাবেন, সফটওয়্যারগুলোতে তারা কীভাবে তাদের ডেটা অ্যানালাইস করছে, সেগুলো শিখে নিতে পারবেন। অনার্স লাইফে যেখানে আপনার একটা কম্পিউটারের অভাব ছিল, সেখানে আজকে আপনি পাব্লিক বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা বড় রিসোর্সফুল কম্পিউটার ল্যাবে আপনার গ্রুপমেটদের সাথে কাজ করছেন, মাস্টার্সের কোর্স ওয়ার্কগুলোর অ্যাসাইনমেন্ট টাইপ করছেন, থিসিস লিখছেন ইত্যাদি ইত্যাদি। তাই, এই পর্যন্ত আপনার আসাই লাগবে, এবং আমি নিশ্চিত, আপনার একটু ইচ্ছা থাকলেই আপনি বাংলাদেশের কোনো একটা পাব্লিক বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়ে যাবেন। এরপর আর আপনার পেছনে ফিরে তাকাতে হবে না, আমি নিঃসন্দেহে বলতে পারি। ডেডিকেশন নিয়ে মাস্টার্সের প্রজেক্ট শেষ করার পর এমনও হতে পারে যে, পরবর্তী কয়েক মাসের মধ্যে আপনার একটা রিসার্স পেপার আপনার গ্রুপমেট ও সুপারভাইজারের সাথে পাবলিশ হয়ে গিয়েছে। মাস্টার্স লেভেলে যে আপনার পেপার পাবলিশ করতেই হবে এমনটা জরুরি না, আপনি আপনার পুরো প্রজেক্ট নিজের থেকে বুঝে সম্পন্ন করছেন, এটাই অনেক বড় বিষয়। এই একটি সাইড আপনাকে পরবর্তীতে অনেক দূর নিয়ে যাবে। মাস্টার্স লেভেলের এই একাডেমিক প্রজেক্টটি যাতে আপনি লিখতে পারেন, সেজন্যই ৩ নম্বর পয়েন্টে আমি আপনাকে ইংরেজিতে লেখার অভ্যাস তৈরি করতে বলেছি, এবং ৪ নম্বর পয়েন্টে Google Scholar থেকে রিসার্চ পেপার ডাউনলোড করে পড়ার মাইন্ডসেট তৈরি করতে বলেছি।
৬। পাব্লিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স কমপ্লিট করার শেষের দিকটায় আপনি নিজেই গবেষণা নিয়ে কনফিডেন্ট ফিল করা শুরু করবেন, আর গাইডলাইন পাওয়ার জন্য তো আপনার সুপারভাইজার বা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য শিক্ষকরা আছেনই। তাদের কাছ থেকে আপনি চাইলে, মাস্টার্সের পর বিদেশে আরেকটা মাস্টার্স বা পিএইচডি স্কলারশিপ পেতে কী কী করণীয়, সেসব সম্পর্কে গাইডলাইন পাবেন। পাশাপাশি, স্কলারশিপ সংক্রান্ত সকল ইনফরমেশন তো অনলাইন থেকে জানতে পারছেনই। তারপর, চেষ্টা চালিয়ে যান স্কলারশিপ ম্যানেজ করার, বিদেশি প্রফেসরদেরকে ই-মেইল করতে পারেন। কোনো একটা স্কলারশিপ ম্যানেজ হয়ে গেলে পাড়ি জমান বিদেশে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার জন্য। যদি কোনো কারণে বিদেশ যাওয়া সম্ভব না হয়, তবে আপনি চাইলে নিজ দেশেও কোনো পাব্লিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি ভর্তি হতে পারেন। আপনি জব করতে থাকলে, পার্ট টাইম পিএইচডি-ও করতে পারেন। শুরু হলো আপনার "গবেষণা জীবন"।
এই পর্যায়ে পৌঁছে আপনি একটু আপনার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শুরুর দিকের সময়টার কথা চিন্তা করতে পারেন। আপনি কোথায় ছিলেন, আর আজকে কোথায় এসেছেন! সমাজের শত অবজ্ঞা, উপহাস সত্ত্বেও আজকে আপনি কিছুটা হলেও নিজেকে গবেষণায় নিযুক্ত করতে পেরেছেন। এর মধ্যে একটা আত্মিক শান্তি পাবেন আপনি। তাই, নিজের উপর বিশ্বাস রাখুন। “আপনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন বলে আপনার লাইফ একেবারে থেমে গিয়েছে”, এমন ভাবনা এলে মাথা থেকে সরাসরি ঝেড়ে ফেলুন। নিজেকে নৈতিক ভাবে সৎ রেখে "গোল" সেট করুন, এবং সেই অনুযায়ী আস্তেধীরে নিজেকে সময় দিয়ে তৈরি করুন। আপনি বর্তমানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের যে ইয়ারেই অধ্যয়নরত থাকুন না কেন, ৫ নম্বর পয়েন্টকে টার্গেট করুন। অবশ্যই ভালো কিছু হবে।
--
The above writing was published in the daily আমাদের বার্তা
ReplyDelete